সূরা ফাতিহার ফজিলত – সূরা ফাতেহা কুরআনুল কারীমের সর্বপ্রথম নাজিলকৃত পূর্ণাঙ্গ সূরা। যদিও সূরা ফাতেহার পূর্বে সূরা আলাক, সূরা মুদ্দাচ্ছিরের কিছু আয়াত নাজিল হয়েছিল।
কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সূরা হিসেবে ফাতেহা প্রথম নাজিল হয়। সর্বপ্রথম নাজিল হওয়া সূরা হওয়ার কারণে এই সূরাকে উম্মুল কিতাব বা উম্মুল কুরআন ও বলা হয়।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা ফাতেহাতে সকল নেক আমলের পূর্ণাঙ্গভাবে আলোচনা করেছেন। সূরা ফাতেহাকে সাধারণত তিনভাগে ভাগ করা হয়।
প্রথমভাগে আল্লাহ তা’আলার বড়ত্ব ও তার গুণগান বর্ণনা করা হয়েছে। মাঝের অংশে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়।
আর শেষের অংশে বান্দা আল্লাহর নিকট এমন কিছু প্রার্থনা করে, যা বান্দার প্রার্থনা করা অপরিহার্য।
যেমন, তুমি আমাদেরকে সরল পথে পরিচালিত করো। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে এমন পথে অবিচল রাখ। যেই পথে তুমি মুত্তাকীদেরকে রাখ।
এসব জিনিষ আল্লাহ বান্দাকে সূরা আল-ফাতেহার মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন। নবীজি সা. এর একটি হাদীস আছে। যেখানে নবীজি ইরশাদ করেন,
সূরা ফাতেহা হলো এমন একটি সূরা, যার মতো ফজিলত সম্পূন্ন সূরা পূর্ববর্তী কোনো আসমানী কিতাবে নেই।
স্বয়ং কুরআনেও সূরা ফাতেহার মতো তাৎপর্যপূর্ণ সূরা আর দ্বিতীয়টি নেই।
পড়ুন: একত্ববাদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
সূরা ফাতেহার তাৎপর্য কেমন, তা আমরা বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে জানতে পারি। সূরা ফাতেহাকে সূরাতুশ শিফা তথা আরোগ্যকারী সূরাও বলা হয়।
যদি কারো কোনো রোগ হয়, আর তখন যদি সূরা ফাতেহা পড়ে তাকে ফুঁক দেয়া হয় এবং এই বিশ্বাস থাকে যে,
আল্লাহ আরোগ্য করবেন।
তাহলে অবশ্যই আল্লাহ মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগ থেকে আরোগ্য দান করবেন। তবে অবশ্যই এর জন্য ইয়াকিন এবং ধৈর্য্য থাকতে হবে।