৮ম ধাপে গাজ্জার জন্য অনুদান প্রেরণ

৮ম ধাপে গাজ্জার জন্য আমাদের অনুদানের কার্যক্রমের বিস্তারিত বিবরণ:
আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন গত ০৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে গাজ্জায় অনুদান পাঠায়। উক্ত অনুদান বাবদ আমাদের টাকা পাঠিয়েছিলাম মোট ৭৮,৭০০৳।

এখানে ২৬,০০০৳ হলো যাকাত আর বাকী ৫২,৭০০৳ হলো সাধারণ অনুদান। আমাদের গাজ্জায় অনুদান পাঠানোর জন্য ডলার ক্রয় করে এরপর তা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাতে হয়েছে।

এই কঠিন কাজটি আঞ্জাম দিয়েছেন শ্রদ্ধেয় সাইফুল ইসলাম ভাই। এবার আমাদের প্রতি ডলার বাবদ সম্ভবত ১১৮.৫০৳ করে খরচ হয়েছে। তাহলে আমরা যদি একটু হিসাব করি,
২৬,০০০৳ = $219.40 ডলার (যাকাত বাবদ)
৫২,৭০০৳ = $444.72 ডলার (সাধারণ দান বাবদ)
আপনারা নিশ্চয় জানেন, যাকাতের টাকা সম্পূর্ণ প্রাপককে মালিক বানাতে হয়। অন্যথায় যাকাত আদায় হয় না।

তাই আমরা সর্বদা যাকাতের অর্থ দিয়ে কোনো কিছু না কিনে অভাবীদের নিকট সরাসরি টাকা বিতরণ করেছি।

বিভিন্ন গরীবদেরকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করা হয়েছে। (এই বিষয়ের একটি ভিডিও আমরা প্রকাশ করেছি)।

মধ্য গাজ্জায় জনৈক অসহায় মহিলাকে খাদ্য দ্রব্য প্রদান ও নগদ অর্থ প্রদান


আর সাধারণ দানের টাকা থেকেই আমরা গাজ্জায় খাদ্য বিতরণ, প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র বিতরণ, ঔষধ বিতরণ ও অন্যান্য জিনিষ বিতরণ করেছি।

গাজ্জায় বর্তমানে সকল জিনিষপত্রের দাম অনেক বেশি। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ভালো খাবারের ব্যবস্থা করার।

খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি

আমাদের খাদ্য বিতরণের জন্য ২৫ কেজি চালের বস্তার দাম পড়েছে $110 ডলার (১৩,০৩৫৳) করে। আর আমরা খাবারের জন্য মুরগির গোশতের ব্যবস্থা করেছিলাম।

দেড় কেজি একেকটি মুরগির দাম পড়েছে $10 ডলার (১,১৮৫৳) করে। অনেকগুলো মুরগিই কেনা হয়েছে।

পূর্বে আমাদের এক ভিডিওতে আপনারা নিশ্চয় আমাদের খাদ্য বিতরণের কর্মসূচি দেখেছেন।

প্রায় ৩০০-৪০০ মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এভাবেই গাজ্জায় আমাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ হয়েছে।

যদিও এত দুরবস্থার মাঝে আমাদের এই কার্যক্রম তেমন কিছুই না। তারপরও হয়তো এটি কিছু মানুষের ক্ষুধা নিবরণ করেছে। কিছু মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

এছাড়াও ডলার পাঠাতে প্রসেসিং ফি ও আরো কিছু ফি দিতে হয়। যা এই টাকা থেকেই কর্তন হয়।
আমাদের এই কার্যক্রমে যাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা না জানালেই নয়, তাদের একজন হলেন আমাদের বড়ভাই শ্রদ্ধেয় সাইফুল ইসলাম ভাই।

তিনিও ব্যক্তিগতভাবে অনেক অনুদান সংগ্রহ করেছেন। একইসাথে সাধারণত পাঠানো হয়। তাই কার্যক্রম একইসাথে করা হয়।

যাতে অর্থের অভাবে না পড়তে হয়। সাইফ ভাই কষ্ট করে ডলার সংগ্রহ করে অনুদান সুন্দরভাবে পাঠিয়েছেন ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

আরেকজন হলেন আমাদের সম্মানিত গাজ্জার প্রতিনিধি শ্রদ্ধেয় মুয়াজ খাইরুদ্দিন ভাই।

তিনি নিজে এতটা অসহায় অবস্থায় থাকার পরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খাবার সংগ্রহ করেছেন, খাবার বিতরণ করেছেন, দূরবর্তী স্থানে অনুদান পৌঁছে দিয়েছেন। তাদের ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারবো না।
আর ফাউন্ডেশনে যেহেতু টাকা আপনারাই দিয়েছেন, তাই আপনাদের প্রতিও অসংখ্য কৃতজ্ঞতা। অনেক ব্যক্তিই আমাদেরকে অনুদান দিয়েছেন।

সকলের নাম আলাদাভাবে বলা সম্ভব নয়। এছাড়াও এটি আদবের খেলাফ। দান গোপনেই উত্তম।

আমরা শুধু আমাদের কার্যক্রমগুলোর প্রুফ দিতে আমরা তা আপনাদের নিকট বর্ণনা করেছি।

~ দায়িত্বশীল
আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন
০৯ এপ্রিল ২০২৪

গাজ্জার রাফাহ অঞ্চলে শিশুদের মাঝে ঈদের জন্য নতুন জামা বিতরণ। এই কাজটি সাইফ ভাইয়ের উদ্যোগে হয়েছে
Scroll to Top