একত্ববাদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য – তাওহীদ বা একত্ববাদ হলো ইসলামের মৌলিক একটি বিষয়। কেউ কখনো আল্লাহর একত্ববাদ স্বীকার করা ব্যতিত মুসলিম হতে পারে না।
আর একত্ববাদ ব্যতিত সে তাওহীদের অনুসারী হতে পারে না। একত্ববাদ মানে হলো, আল্লাহকে এক বলে বিশ্বাস করা এবং তার সাথে কোনো শরীক না করা।
আর আল্লাহ তা’আলা তার নিজের যেসব সিফাত বর্ণনা করেছেন, যেগুলোকে আমরা আল্লাহর নাম বলে থাকি সেগুলোকে পূর্ণভাবে বিশ্বাস করা।
এই তাওহীদই হলো এমন একটি জিনিষ, যার মাধ্যমে সে দুনিয়া-আখিরাতে সফলতা অর্জন করতে পারে।
তাওহীদের উপর বিশ্বাস রেখেই মানুষ দুনিয়াতে আগমন করে।
এরপর সে তার পরিবার বা অন্যদের অনুসরণ করে তাওহীদ ত্যাগ করে কিংবা তাওহীদের উপর অবিচল থেকেই দুনিয়া ত্যাগ করে।
যারা দুনিয়াতে তাওহীদ বিশ্বাস না করে দুনিয়া ত্যাগ করে, পরকালে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব।
আর যে ব্যক্তি তাওহীদের উপর বিশ্বাস রেখে দুনিয়া ত্যাগ করে পরকালে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত রেখেছেন।
কুরআনুল কারীমের সূরা ইখলাসে আল্লাহ তাওহীদ বা একত্ববাদের বর্ণনা দিচ্ছেন এভাবে যে,
বলো আল্লাহ একক। তার কোনো শরীক নাই। তিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং জন্ম নেন নি।
আল্লাহর বলে দেয়া এই কথাগুলো উপর সকলের জ্ঞানলাভ করা উচিৎ। অর্থাৎ বুঝা উচিৎ যে, আল্লাহ এখানে কি বলেছেন।
আর আমরা কি তা মানতে পারছি কিনা? একজন ব্যক্তি আল্লাহকে বিশ্বাস করে মুসলিম হওয়ার পর আসে সে মুমিন নাকি?
তবে পূর্বেই একটা বিষয় লক্ষ্যণীয় যে, কেউ যদি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে কিংবা এই বিশ্বাস করে,
আল্লাহ কারো থেকে জন্ম নিয়েছেন।
তাহলে সে কখনো মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যদি কেউ আল্লাহকে মানে, কিন্তু বিভিন্ন ফেতনা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত,
তাহলে সে মুমিন নয় বলা হবে। আর মুমিন এবং মুসলিম হবে সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহকে মান্য করে এবং তার আদেশ-নিষেধ মানে।
আর সে নবীজি সা. এর দেখানো পথে চলে। সেই হবে মুমিন এবং মুসলিম।
একত্ববাদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য হলো, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করা। আর কখনো তার অবাধ্য না হওয়া।