শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান – বিশ্বে আস্তে আস্তে শীতের প্রকোপ বাড়ছে। বাংলাদেশেও এই শীতের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। দেশের ২০ কোটি মানুষের মধ্যে সকলেই শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য রাখেন না।
বহু মানুষ এমন আছে, যাদের শীতে আগুনের তাপ ছাড়া শীত নিবারণের কোনো মাধ্যম নেই।
দেশের নিম্নবিত্ত মহল্লায়, রেলস্টেশনে, রাস্তার পার্শ্বে এমন বহু শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ রয়েছে যারা শীতের প্রয়োজনীয় পোশাক কিনতে অক্ষম।
গরীব অসহায়দের এই হাড়কাঁপা শীতে পাশে দাঁড়ানো আমাদের একান্ত কর্তব্য। আর রিহলাহ ফাউন্ডেশন শীতার্ত মানুষের সহায়তায় ফান্ড সংগ্রহ করছে।
এই টাকা দিয়ে ফাউন্ডেশন দেশের মধ্যে সরাসরি কিংবা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, সাবআ সানাবিল ফাউন্ডেশনের সাথে কাজ করার চেষ্টা করা হবে।
এছাড়াও শীতের এই মৌসুমে সাধারণ মানুষের যেমন কষ্ট হয় তেমনি দেশের ছোট পরিসরে গড়ে উঠা মক্তব, মাদ্রাসার ছোট ছোট তালিবে ইলমদেরও অনেক কষ্ট হয়।
ফাউন্ডেশনের উক্ত তহবিল থেকে মাদ্রাসার সাধারণ তালিবে ইলমদের জন্য কার্পেট, শীতবস্ত্র ক্রয়েও ব্যবহৃত হবে ইনশাল্লাহ।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা One Nation এর মাধ্যমে গাজ্জা, আফগানিস্তান, বসনিয়া, সিরিয়া, তুরষ্কে থাকা উইঘুর শরণার্থীদের জন্যও এই ফান্ড খরচ করা হবে ইনশাল্লাহ।
আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশনে আপনার পাঠানো অনুদানের সময় রেফারেন্সে Donation for winter লিখে পাঠানোর অনুরোধ রইলো।
শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকল সামর্থ্যবান ব্যক্তিকে আহবান রইলো।
আমাদের পুরনো পোশাক দিয়ে হলেও শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো একান্ত কর্তব্য। নবী করিম (সা.) বলেছেন,
‘যে মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে বস্ত্রহীন অবস্থায় বস্ত্র দান করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে সবুজ বর্ণের পোশাক পরাবেন।
খাদ্য দান করলে তাকে জান্নাতের ফল খাওয়াবেন, পানি পান করালে জান্নাতের শরবত পান করাবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬৮২)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন,
‘কোনো মুসলমান অপর মুসলমানকে কাপড় দান করলে যতক্ষণ ওই কাপড়ের টুকরা তার কাছে থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দানকারী আল্লাহর হেফাজতে থাকবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৮৪)