ফিলিস্তিনের গাজ্জায় আমাদের কার্যক্রম তুফানুল আকসা যুদ্ধের শুরু থেকেই চালু রয়েছে। গাজায় আমাদের কার্যক্রম সমূহ একত্রে আর্কাইভ হিসেবে এখানে রইলো। আর আমাদের মাধ্যমে গাজ্জার জন্য অনুদান দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
আলহামদুলিল্লাহ, ২২ তম ধাপে ফিলিস্তিনের গাজ্জায় মোট ১,৯৫,৮৫৪৳ পাঠানো হয়েছে। এই টাকা উত্তর গাজ্জার দুই স্থানে আলাদা আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে এবং কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
প্রথম ধাপে উত্তর গাজ্জার আয-যাইতুন পাড়ায় ২৫টি পরিবারের মাঝে এক সপ্তাহের জন্য নূন্যতম প্রয়োজনীয় খাদ্য বিতরণ করা হয়। এখানে খাদ্য আইটেমে ছিল আটা, ভোজ্যতৈল, শিশুদের দুধ, প্যাম্পার্স ইত্যাদি।
দ্বিতীয় ধাপে উত্তর গাজ্জার জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে আমরা দুইটি কার্যক্রম পরিচালনা করি। ১. বিশুদ্ধ পানি বিতরণ। এখানে প্রায় ৫০০০ লিটার পানি ১২০০ মানুষের মাঝে বিতরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ২. শিশুদের জন্য দুধ বিতরণ। ১৫টি পরিবারে দুধ বিতরণ করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ, ২১ তম ধাপে গাজ্জায় অনুদান পাঠানো হয়েছে মোট ৮৪,১৫০৳। হঠাৎ করেই অনুদানটি ঈদের আগে ঈদ উপলক্ষ্যে পাঠানো হয়। ইনশাআল্লাহ ঈদের দিন গাজ্জায় ‘ঈদ উপহার’ বিতরণ করা হয়। প্রায় ১৯টি পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ দিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ, ২০ তম ধাপে গাজ্জায় অনুদান পাঠানো হয়েছে মোট ১,১২,৬৯৬৳। এবার কার্যক্রম পরিচালিত উত্তর গাজ্জার জাবালিয়া এলাকায়। আমরা এবার খাদ্য প্যাকেট বিতরণ করেছি। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, পনির এবং আরো অনেক প্রয়োজনীয় সদাই।
আলহামদুলিল্লাহ, ১৯ তম ধাপে গাজ্জায় অনুদান পাঠানো হয়েছে মোট ৪৫,০৫০৳। এবার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে উত্তর গাজ্জার সুজাইয়া শরণার্থী শিবিরে। এখানে ৯টি পরিবারে ৯ বক্স খাদ্য দেওয়া হয়েছে। খাবারের বক্সে প্রয়োজনীয় খাবার, তেল, শিশুদের জন্য দুধসহ আনুষাঙ্গিক জিনিষপত্র ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ, ১৮ তম ধাপে গাজ্জায় অনুদান পাঠানো হয়েছে। সাথে আরো দুইটি ফান্ডের টাকা এতে যুক্ত করা হয়েছে।
পরিস্থিতি সংকুলান না হওয়ায় আমরা ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোতে আটা বিতরণ করেছি। যা দিয়ে একটি পরিবার খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারেন । ১২টি পরিবারে আটা ১ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে
এক শহীদ পরিবারের জন্য অল্প কিছু ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে শহীদ পরিবার ফান্ড থেকে। শহীদের প্রতি সম্মানার্থে তার ছবি তোলা হয় নি
উত্তর গাজ্জার জাবালিয়া শরণার্থী স্কুলে আমরা ২৫০টি পরিবারের নিকট রুটি বিতরণ করি। ক্রমবর্তমান আগ্রাসনের কারণে এখানে খাদ্য, পানীয় এর তীব্র সংকট চলছে। প্রতিটি পরিবারকে ৫-১০ পিস রুটি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
মধ্য গাজ্জার দেইর আল বালাহ এলাকায় অসুস্থদের জন্য চিকিৎসা বাবদ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও অসহায়দের মাঝে অর্থ বিতরণ করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ, ফিলিস্তিনের গাজ্জায় ১৬ তম ধাপে অনুদান পাঠানো হয় ১১ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে। স্থান, মধ্য গাজ্জার দেইর আল বালাহ এলাকা। মোট ২৫,৫১০৳ অনুদান বাবদ গাজ্জায় পৌঁছে। অর্থ গাযায় নগদ অর্থ হিসেবে বিতরণ করা হয় শহীদ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে
আসসালামু আলাইকুম, ১৫ তম ধাপে আমরা গাযায় অনুদান পাঠাচ্ছি ১৮,৭৫৭৳। আমাদের অর্থের পরিমাণ কম হওয়ায় আমরা তা ভাই সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে পাঠাই। পরবর্তীতে তা মধ্যগাযায় বিতরণ করা হয়
আলহামদুলিল্লাহ, ফিলিস্তিনের গাজ্জায় ১৪ তম ধাপে অনুদান পাঠানো হয় ১০ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে। স্থান, মধ্য গাজ্জার খান ইউনুস এলাকা। মোট ২৪,৫৬০৳ অনুদান বাবদ গাজ্জায় পৌঁছে। এই অর্থ সেখানে অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়
আলহামদুলিল্লাহ, ১৩ তম ধাপে গাজ্জার জন্য অনুদান পাঠানো হয়েছে ১,৯৬,৩৭৩৳। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে আমরা উত্তর গাজ্জায় আমাদের প্রতিনিধিদের নিকট অনুদান পাঠাই। পরবর্তীতে ১৯ ও ২০ জুলাই ২০২৪ রোজ শুক্রবার ও শনিবার খাদ্য বিতরণ, শিশুদের জন্য দুধ বিতরণ, ঔষধ বিতরণ করা হয়। প্রায় ১০০০+ লোকের জন্য খাবার বিতরণ করা হয় এই প্রজেক্টে।
০১ জুলাই ২০২৪ তারিখ মধ্য গাজ্জায় ১২,৩৪০৳ অনুদান পাঠানো হয়। মধ্য গাজ্জায় আমরা সরাসরি অর্থ বিতরণ করি শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে। আমরা এক শহীদ পরিবারকে ১০০ ডলার তথা ৩৬০ ইসরাইলি শেকেল প্রদান করি। যা বাংলাদেশী টাকায় ১২,৩০০ টাকার বেশি।
আলহামদুলিল্লাহ, ১১ তম ধাপে গাজ্জার জন্য অনুদান পাঠানো হয়েছে ১,০৪,২০০৳। ২৬ জুন ২০২৪ তারিখে আমরা উত্তর গাজ্জার জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেছি। প্রায় ৫ হাজার লিটার পানি বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী দিন তথা ২৭ জুন ২০২৪ তারিখে গাজ্জার ৮০ জন শিশুর জন্য ডায়াপার বিতরণ করা হয়। পরবর্তীতে অসুস্থ মানুষদের ঔষধের ব্যবস্থা করা হয়। সব মিলিয়ে এবারের প্রকল্পের কার্যক্রম ছিল কয়েকটি ভাগে বিভক্ত এবং বেশ সমৃদ্ধ।
আলহামদুলিল্লাহ, দশম ধাপে গাজ্জার জন্য অনুদান পাঠানো হয়েছে ২১,৩০০৳। আলহামদুলিল্লাহ ১০ম ধাপে আমরা গাজ্জায় অনুদান পাঠাই ০২ জুন ২০২৪ তারিখে। এরপর আমাদের এই অনুদান গাজ্জায় বিতরণ করা হয় ১৫ জুন ২০২৪ তারিখে। গাজ্জার দেইর আল বালাহ এলাকায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের তাঁবুতে এই খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আমাদের সাথে আর্থিকভাবে সহযোগী ছিলেন সাইফুল ইসলাম ভাই। উভয়ের যৌথ সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রায় ৫০টি পরিবারের নিকট খাদ্য বিতরণ করা হয়। খাবারের আইটেম ছিল ভাত ও মুরগির গোশত।
আলহামদুলিল্লাহ, নবম ধাপে ১৭ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে আমরা গাজ্জার জন্য অনুদান পাঠিয়েছি শ্রদ্ধেয় সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের মাধ্যমে। আমাদের এবার অনুদান উঠেছিল মোট ১,১৭,১৪০৳ টাকা। এই অনুদান বিতরণ করা হয় মে মাসের শুরুর দিকে। হঠাৎ করে মে মাসের শুরুর দিকে ইসরাইল রাফাহ এলাকায় হামলা শুরু করলে পূর্বেরকার মতো খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া সম্ভব হয় নি। আমরা এবার অসহায়দের হাতে নগদ অর্থ প্রদান করার চেষ্টা করেছি। গাজ্জায় চলমান আগ্রসনের ফলে সকল পণ্যের দাম অত্যাধিক বেশি। তাই সবদিকে বিবেচনা করে কয়েকটি পরিবার যেন ভালোভাবে মাসখানেক বা কিছুদিন কাঁটাতে পারে, সেই অনুযায়ী অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ, ৮ম ধাপে আমরা আজ ০৪ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে গাজ্জায় অনুদান পাঠিয়েছি শ্রদ্ধেয় সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের মাধ্যমে। আমরা সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের হাতে অনুদান দিয়েছি। আমাদের মোট অনুদান পাঠানো হয়েছে ৭৮,৭০০৳ টাকা। এই টাকা দিয়ে গাজ্জায় অবস্থিত আমাদের প্রতিনিধি মুয়াজ খাইরুদ্দিন ভাই প্রয়োজনীয় জিনিষ ক্রয় করে অসহায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। তিনি আমাদের নিকট ভিডিওচিত্র পাঠিয়েছেন। তা আমরা আমাদের পেজ ও চ্যানেলে প্রকাশ করেছি। নিচের বাটনে ক্লিক করেও আমাদের সকল কার্যক্রমগুলো দেখতে পারবেন।
যারা যারা অনুদান দিয়েছেন, সকলকে জানাই কৃতজ্ঞতা। জাযাকুমুল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ, ৬ষ্ঠ ধাপে আমরা আজ ১০ মার্চ ২০২৪ তারিখে গাজ্জায় অনুদান পাঠিয়েছি শ্রদ্ধেয় সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের মাধ্যমে। আমরা সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের হাতে সকালে অনদান দিয়েছি। আমাদের মোট অনুদান পাঠানো হয়েছিল ৩৫,১০০৳ টাকা। এই টাকা দিয়ে গাজ্জায় অবস্থিত মুয়াজ খাইরুদ্দিন ভাই প্রয়োজনীয় জিনিষ ক্রয় করে প্রায় ৩০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেছেন। এছাড়াও এই অনুদানে আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন ছাড়াও আরো অনেকে যুক্ত হয়েছিল। সকলেরটা মিলেই এই মহান কাজ আঞ্জাম দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এছাড়াও ৭ম ধাপে গত ১৮ মার্চ ২০২৪ তারিখে আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশন থেকে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা পাঠানো হয়। উক্ত টাকা গাজ্জায় অবস্থিত মুয়াজ ভাইয়ের নিকট অনুদান হিসেবে পাঠানো হয়।
আলহামদুলিল্লাহ, পঞ্চম ধাপে গাজার জন্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে। এবার আমাদের মোট টাকা উঠেছিল ৫১,০০০৳ থেকে একটু বেশি।
আমরা মোট ৪৭,৯৬৯৳ পাঠিয়েছি। ব্যাংকের ডলার রেট কমে যাওয়ায় খানিকটা কম গিয়েছে। বাকী টাকাগুলো আমরা পরবর্তী ডোনেশনে যুক্ত করে দিব ইনশাআল্লাহ।
এবারের অনুদান পাঠানো হয়েছে One Nation UK এর মাধ্যমে। আমরা ডোনেশনে ১০০% অনুদান নীতি অনুসরণ করে থাকি।
আলহামদুলিল্লাহ, চতুর্থ ধাপে গাজার জন্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখে।
এবার আমাদের মোট টাকা উঠেছিল ২৭,৯৫০৳ থেকে একটু বেশি। আমরা উক্ত টাকা one nation এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজায় পাঠিয়েছি।
আমাদের ডোনেশনে ১০০% অনুদান নীতি থাকায় এটির প্রসেসিং ফি, ভ্যাট ফাউন্ডেশন নিজেই বহন করেছে।
আলহামদুলিল্লাহ, তৃতীয় ধাপে ফিলিস্তিনের গাজ্জার জন্য ডোনেশন পাঠানো হয়েছে One Ummah Charity এর মাধ্যমে। তারা ফিলিস্তিনে তুফানুল আকসা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক কাজ করেছে। এবার আমাদের ফান্ডে ফিলিস্তিনের জন্য মোট টাকা উঠেছিল ২৮০০৳। One Ummah Charity তে উক্ত টাকা পাউন্ড হিসেবে পাঠানো হয়েছে। ১০ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে ১ পাউন্ড = ১৪৬.২৳ করে রেট কাঁটা হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা মোট £20.00 পাউন্ড পাঠিয়েছি। আমাদের উক্ত টাকা সম-পরিমাণ এসেছে ২,৯২৪৳। বাড়তি ১২৪৳ ফাউন্ডেশন বহন করেছে। আমাদের ডোনেশনে ১০০% ডোনেশন নীতি অনুসরণ করা হয়।
আর-রিহলাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২য় ধাপে ফিলিস্তিনের জন্য ডোনেশন প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে ফিলিস্তিনে ১১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে আমরা ১৪১৪৳ ডোনেট পাঠিয়েছিলাম।
এখন দ্বিতীয় ধাপে (১১ ডিসেম্বর ২০২৩) আমরা ৪৮০৪৳ ডোনেট পাঠাতে পেরেছি।
উক্ত টাকা ফিলিস্তিনে বর্তমানে কাজ করা One Nation এর নিকট পাঠানো হয়েছে। ডোনেশন নং #293946 ।
